ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখ। চারদিকে ভালোবাসার রঙ লেগে আছে। শহরের প্রতিটি কোণায় ফুল, কার্ড, আর চকলেটের দোকানে ভিড়। এই দিনটি ছিল আরিফ আর সারার জন্যও বিশেষ। তারা তিন বছর ধরে একে অপরের পাশে আছে, সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করেছে।
সারা ঠিক করেছিল, এই ভালোবাসা দিবসে সে আরিফকে এমন কিছু উপহার দেবে, যা তাদের সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে। কয়েকদিন ধরে সে বিভিন্ন দোকানে ঘুরেছে, কিন্তু মনের মতো কিছুই পাচ্ছিল না। শেষে একটি ছোট্ট কাগজের টুকরো হাতে নিয়ে সারার মনে হলো, “আমি যদি আমার অনুভূতিগুলো লিখে তাকে জানাই, তাহলে সেটা হবে সবচেয়ে ব্যক্তিগত আর সুন্দর উপহার।”

অন্যদিকে, আরিফও থেমে নেই। সারাকে সারপ্রাইজ দিতে সে শহরের সবচেয়ে সুন্দর একটি রেস্তোরাঁ বুক করেছে। সেখানে বিশেষ একটি টেবিল সাজানো হয়েছে গোলাপ আর মোমবাতি দিয়ে। সারার জন্য সে নিজের হাতে বানিয়েছে একটি ফটো অ্যালবাম, যেখানে তাদের প্রতিটি বিশেষ মুহূর্তের ছবি রয়েছে।
দিনটি শুরু হলো। সারা আর আরিফ একসঙ্গে সময় কাটানোর পরিকল্পনা করেছিল। সন্ধ্যায়, আরিফ সারাকে নিয়ে গেল সেই রেস্তোরাঁয়। টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে সারা অভিভূত হয়ে গেল। “তুমি কিভাবে এমন সুন্দর কিছু পরিকল্পনা করলে?” বলে সারা হাসি দিয়ে জিজ্ঞেস করল।
আরিফ তার অ্যালবামটি সারার হাতে দিল। পৃষ্ঠাগুলো উল্টাতে উল্টাতে সারার চোখে জল চলে এলো। “এটা কি করে করলে তুমি?”
তারপর সারা পকেট থেকে সেই ছোট্ট চিঠিটি বের করে আরিফকে দিল। চিঠিতে লেখা ছিল:
“তুমি শুধু আমার ভালোবাসা নও, তুমি আমার জীবনের শক্তি। তুমি ছাড়া আমার কোনো দিন পূর্ণ নয়। তোমার হাত ধরে আমি জীবনের প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চাই। ভালোবাসা দিবসে তোমাকে এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—তোমার পাশে চিরকাল থাকব।”
সারা আর আরিফ একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসল। তাদের চোখে ছিল আনন্দ আর তৃপ্তির জল।
এই ভালোবাসা দিবস তাদের জন্য বিশেষ হয়ে উঠেছিল, কারণ তারা বুঝেছিল ভালোবাসার আসল মানে কোনো বড় উপহার নয়, বরং একে অপরের জন্য ছোট ছোট অনুভূতির প্রকাশ।
আপনার ভালোবাসার গল্প শেয়ার করতে ভুলবেন না! এই ভালোবাসা দিবসে আপনার প্রিয়জনের জন্য কী উপহার দিয়েছেন? কমেন্ট করুন এবং আমাদের জানান।