চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় ভয়াবহ আগুনে দমবন্ধ হয়ে এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন মো. ইলিয়াছ (৫০) এবং ফারভিন আক্তার (৪৫)। তাদের দুই সন্তান গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
🔥 কিভাবে আগুন লাগে?
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গভীর রাতে ইলিয়াছের বাসায় আগুন লাগে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানায়, আগুনের ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে ইলিয়াছ ও ফারভিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরিবারের বাকি দুই সদস্য, ১০ বছর বয়সী মেয়ে আফরিন এবং ১৪ বছর বয়সী ছেলে রাহাত, গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে।
🚒 দমকল বাহিনীর ভূমিকা
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান জানান, রাত ৩টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কিন্তু ততক্ষণে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
তিনি বলেন, “আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। তবে বৈদ্যুতিক ত্রুটির সম্ভাবনা রয়েছে।”
🏥 আহতদের অবস্থা
চমেক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, দুই শিশুর শ্বাসনালী মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন।
📰 স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ইলিয়াছ একজন ভালো মানুষ ছিলেন এবং তার পরিবার এলাকায় বেশ পরিচিত ছিল।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। রাতের বেলা আগুন লাগার পর আমরা চেষ্টা করেছিলাম তাদের বাঁচাতে, কিন্তু ধোঁয়ার কারণে কিছুই করতে পারিনি।”
⚠️ সাবধানতা ও সতর্কতা
এই দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা কিছু সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন:
- ঘরে স্মোক ডিটেক্টর লাগান।
- বৈদ্যুতিক সংযোগ নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
- রাতে ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ করে ঘুমান।
- আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার এক্সটিংগুইশার রাখুন।
📢 শেষ কথা
চট্টগ্রামের এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা আমাদের নিরাপত্তা বিষয়ে আরও সতর্ক হতে শেখায়। দমকল বাহিনী তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং আরও তথ্য প্রকাশ করা হবে।
📢 এই সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন, যাতে সবাই সতর্ক হতে পারে!