গ্রামের এক জায়গায় ছিল শর্মা সাহেবের মুরগির খামার। তিনি তাঁর মুরগিগুলোর যত্ন নিয়ে এতটাই গর্বিত ছিলেন যে সেগুলোকে সোনার ডিম পাড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ মনে করতেন। কিন্তু সমস্যা একটাই—প্রতিদিন রাতে মুরগি চুরি হয়ে যেত! শর্মা সাহেব এত বিরক্ত হয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন, গ্রামের সবচেয়ে চালাক দারোয়ানকে ভাড়া করবেন।
দারোয়ান প্রথম দিনেই খামারের চারপাশে বিশাল এক জাল লাগাল। বলল, “এবার কোনো মুরগি পালাতে পারবে না!” শর্মা সাহেব খুশি হয়ে রাতে ঘুমোতে গেলেন। কিন্তু সকালে দেখেন, আবারও দুইটা মুরগি উধাও!
দারোয়ান বলল, “স্যার, এটা চোরের বুদ্ধি। আজ আমি মুরগিদের পাহারা দিয়ে থাকব।” রাতে সে নিজে গিয়ে মুরগিদের মাঝে বসে পাহারা দিল। সকাল হলে দেখা গেল, এবার তিনটা মুরগি উধাও!

শর্মা সাহেব রেগে বললেন, “তোমার পাহারা দেওয়ার কোনো মানেই হয় না!”
দারোয়ান বলল, “স্যার, আমি বুঝে গেছি! চোর মুরগির মতো আচরণ করছে। আজ রাতে আমিও মুরগি সেজে পাহারা দেব।”
সেই রাত। দারোয়ান মুরগির মতো “কক-কক” ডাকতে শুরু করল। চোর আসল, দারোয়ান বলল, “আজ ধরা খাবি, চোর!”
চোরও মজা নিয়ে বলল, “মুরগি কথা বলতে পারে না, বোকার মতো কাজ করিস না!”
চোর গিয়ে আবার মুরগি নিয়ে পালাল। সকালে দারোয়ান বলল, “স্যার, মুরগি না বাঁচালেও হাসির খোরাক ঠিকই হয়ে গেছি!”
😂 শিক্ষা: নিজের কাজটা ঠিকমতো না জানলে মুরগি বাঁচানোর চেয়ে মজা দিতে বেশি সময় লাগে!
👉 আপনার মতামত শেয়ার করুন!
এই হাসির গল্পটি পড়ার পর আপনার কি মনে হলো? কমেন্টে জানিয়ে দিন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন! 😄
🌍 আমাদের সেবা পেতে, আমাদের মনে রাখুন!
আরও হাস্যকর গল্প পেতে এবং অন্যান্য আপডেটের জন্য আমাদের মনে রাখতে ভুলবেন না।