রাত তখন ২টা। পুরো শহর ঘুমিয়ে আছে। শুধু রাফি জেগে আছে, পড়াশোনার টেবিলে বসে। সামনে খোলা বই, কফির কাপ পাশে রাখা। চারদিক নিস্তব্ধ, এতটাই নীরব যে নিজের নিঃশ্বাসের শব্দও স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে।
হঠাৎ করেই রাফির মনে হলো, কেউ যেন তার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে! সে ধীরে ধীরে মাথা ঘুরিয়ে দেখতে চাইল, কিন্তু ভেতরে এক অজানা আতঙ্ক অনুভব করলো।
তার গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গেল! ঠান্ডা বাতাসের ঝাপটা অনুভব করলো, অথচ সব জানালা বন্ধ ছিল। মনে হলো যেন ঘরের পরিবেশটাই বদলে গেছে—আলোটা একটু ম্লান হয়ে এসেছে, বাতাসে একটা গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে… পচা গন্ধ!
রাফি আস্তে করে পেছনে তাকালো।
একটা ছায়া!
মানুষের মতো আকৃতি, কিন্তু চোখ নেই, মুখ নেই—শুধু একটা কালো অবয়ব দাঁড়িয়ে আছে দরজার সামনে!
সে নড়ছে না, কোনো শব্দ নেই, কিন্তু রাফির মনে হলো, ছায়াটা তার দিকে তাকিয়ে আছে!
রাফির দেহ অবশ হয়ে গেল, গলা শুকিয়ে গেল। সে চিৎকার করতে চাইল, কিন্তু গলা দিয়ে কোনো শব্দ বের হলো না!
ছায়াটা ধীরে ধীরে এগিয়ে আসতে লাগলো…
রাফি চোখ বন্ধ করলো। মনে মনে দোয়া পড়তে শুরু করলো। কয়েক মুহূর্ত পর সে চোখ খুলে দেখে, ছায়াটা এখন তার টেবিলের ঠিক সামনে দাঁড়িয়ে আছে!
হঠাৎ বাতিটা নিভে গেল। পুরো ঘর ঘন অন্ধকারে ঢেকে গেল।
রাফি অনুভব করলো কেউ তার গলা চেপে ধরেছে!
সে হাত-পা ছুড়তে লাগলো, কিন্তু শরীরে কোনো শক্তি নেই!
হঠাৎ সব কিছু আবার আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে গেল। বাতি জ্বলে উঠলো, রাফি শ্বাস নিতে পারলো। কিন্তু ছায়াটা আর সেখানে ছিল না!
তবে… তার বুকের ওপর একটা কালো দাগ পড়ে গেছে, যেন কেউ পুড়ে যাওয়া হাত দিয়ে চেপে ধরেছিল!
পরদিন সকালে, রাফির ঘরের দরজা ভেতর থেকে লক পাওয়া গেল।
কিন্তু রাফি কোথাও ছিল না…!
তাকে আর কখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি…
Your article helped me a lot, is there any more related content? Thanks!