লেখক: robinkantidey.com
প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২৫
🔹 পরিচিতি
নীলা আর রাহুল—দুজনের ভালোবাসার গল্প ছিল স্বপ্নের মতো। ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে বেড়ে ওঠা, একই স্কুল, একই শহর। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় ভালোবাসার পথ কখনো মসৃণ হয় না। প্রতিশোধ, অভিমান আর কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনার জালে একসময় হারিয়ে যেতে বসে তাদের সম্পর্ক।
🔹 গল্পের শুরু
নীলা ছিল শান্ত, সুন্দর, স্বপ্নবিলাসী এক মেয়ে। আর রাহুল ছিল স্বাধীনচেতা, চঞ্চল আর কিছুটা অধৈর্য। কলেজ জীবনে তাদের বন্ধুত্ব গভীর প্রেমে রূপ নেয়। দুজনের স্বপ্ন ছিল একসঙ্গে সারাজীবন কাটানোর। কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন।
নীলার পরিবার চায়নি সে রাহুলের সাথে সম্পর্ক রাখুক। তার বাবা-মা তার জন্য একজন উচ্চপদস্থ চাকরিজীবী খুঁজছিলেন। কিন্তু নীলা আর রাহুল প্রতিজ্ঞা করেছিল, তারা একে অপরকে ছাড়া বাঁচবে না।
🔹 বাঁধা ও বিচ্ছেদ
একদিন নীলাকে জানানো হলো তার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। রাহুল কিছুতেই এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছিল না। সে নীলার সাথে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। কিন্তু হঠাৎ একদিন, কোনো এক অজানা কারণে নীলা রাহুলকে এড়িয়ে চলতে লাগলো।
একদিন রাহুল জানতে পারলো, নীলা তার বাবা-মায়ের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে অন্য একজনকে বিয়ে করতে চলেছে! রাহুল বিশ্বাস করতে পারছিল না—যে মেয়ে তার জন্য সব ছেড়ে আসতে চেয়েছিল, সে এত সহজে কীভাবে বদলে গেল?
🔹 প্রতিশোধ নাকি ক্ষমা?
নীলার বিয়ের দিন, রাহুল সেখানে গিয়েছিল। কিন্তু সে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলো না। শুধু দূর থেকে দেখলো, সেই নীলা আজ অন্য কারও পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
কয়েক বছর পর, একদিন এক মেলায় রাহুল আর নীলার দেখা হয়। নীলা কাঁদতে কাঁদতে বলল, “আমি কখনো তোমাকে ভুলিনি রাহুল! বাবা-মার হুমকির কারণে আমি তোমাকে ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম।”
রাহুল কিছু বলল না। শুধু হাসলো। হয়তো সেই হাসির মধ্যে ছিল সমস্ত ভালোবাসা, সমস্ত কষ্ট, সমস্ত প্রতিশোধের অনুভূতি। সে বুঝতে পারলো—ভালোবাসা কখনো কখনো কাছে না থাকলেও মনের ভেতরে চিরকাল বেঁচে থাকে।
Thank you for your sharing. I am worried that I lack creative ideas. It is your article that makes me full of hope. Thank you. But, I have a question, can you help me?
Your point of view caught my eye and was very interesting. Thanks. I have a question for you.
Your article helped me a lot, is there any more related content? Thanks!